Wednesday, September 3, 2025

প্রশাসন থেকে ‘আওয়ামী চেতনা লালনকারীদের’ অপসারণের দাবি হেফাজতের

আরও পড়ুন

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রশাসন থেকে আওয়ামী লীগের আনুগত্যকারী ও ‘চেতনা লালনকারী’ কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবি জানিয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য এই পদক্ষেপ জরুরি বলেও দাবি করেছেন তারা।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

মাওলানা আজিজুল হক বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে কীভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়, সে বিষয়ে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, তারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর এবং সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করার আহ্বান জানিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  বিএনপি নেতাকে মালা পরানো সেই পুলিশ কর্মকর্তা গোপালগঞ্জে বদলিকে

তিনি দাবি করেন, সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করার দাবি তাদের পক্ষ থেকে উপস্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের ‘জুলাই সনদে’ গণহত্যাকে সংরক্ষণ করার কথা দাবি করা হয়েছে।

মাওলানা আজিজুল হক বলেন, ২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় হাজার হাজার আলেমদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের অবদানও জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  ‘৫০ হাজার টাকা দাও, বিষয়টা আমি দেখছি’, জামায়াত নেতার অডিও ফাঁস

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকের ওপর হামলাকে নিন্দাজনক উল্লেখ করে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকারে দাবি জানিয়েছেন হেফাজত।

এক প্রশ্নের জবাবে মাওলানা আজিজুল হক স্পষ্ট করেন, “হেফাজতে ইসলাম কোনো অবস্থাতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘কওমি জননী’ উপাধি দেয়নি। এটি কওমি মাদ্রাসা বোর্ডের একজন মাওলানা রব আমিনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ